If there is any place in Bangladesh
where beauty meets spirituality then it has to be Sylhet
From the
early Sufi saints to the modern day travellers, people have been enthralled by
the beauty of Sylhet for hundreds of years. Situated in the northeast corner of
the country Sylhet is a traveller’s dream come true with countless hilly
rivers, undulating landscape and numerous forest lands. And since the sufi days
have gone, the shrine of the Sufis themselves have become a pilgrim’s
attraction. While the city itself is a beauty in itself, you will be surprised
to discover many other exciting places by stepping outside the city and
exploring the nearby areas for a couple of days.
Spiritually inclined
Hazrat Shah
Jalal (R) was a saint whose name is associated with the Muslim conquest of
Sylhet in early 14th century. His shrine, one of the most visited pilgrimage
sites, is not very far from the city center. The compound includes the tomb of
the saint, a newly built large mosque and a pond filled with catfish which are
fed by pilgrims and is considered a sacred act. Every day thousands of people
from every corner of the country visit the shrine. After evening when the tomb
is lit up with candles and the rich designs on its brocade shimmer in the dark
the visitors easily get elevated to a plateau of spirituality from the harsh
reality.
Heading into the forest
In recent
times, Ratargul Swamp Forest has become one of the tourist hot spots. A
vegetated wetland some 20 km northeast to Sylhet, it is country’s only one such
kind of forest. For most time of the year it remains inundated under 4-5 feet
water which comes from the adjacent Goain river, which rises upto 15 feet above
ground during rainy season. A boat ride along with a swim in the Goain River is
highly enjoyable.
Lawachara Reserve
Forest is one of the last refuges of the country’s shrinking rain forests. A
major national park of the country, Lawachara Rainforest, is also a nature
reserve. Situated some 60 km south of the Sylhet at Sreemongol thana
(sub-district) in Moulvibazaar district, the forest covers an area of
approximately 1,200 ha. The forest is adjacent to the famous rolling hills of
the tea plantations of Sreemongol and hence the terrain of the forest itself is
also undulating and full of small hillocks locally known as ‘Tila’. Home to
some of the endangered mammals, the forest is known for the hoolock gibbons, more
than 200 bird species and several species of orchids. It is just two and a half
hour by road from Sylhet, and should be explored.
Tea plantations
Sylhet is
called the land of tea. So it is no surprise that the whole region abounds in
countless tea gardens. A visitor to a tea garden will be enchanted by the
picturesquely terraced tea plants on the small hillocks and hills. Occasionally,
visitors will be allowed to watch the tea making process in the factory located
here. While the choices are many, the Sreemongol Moulvibazaar region has perhaps
the most beautiful tea gardens which are within walking distance from the
Sylhet city centre. It can be visited as a side trip during a visit to the Lawachara
rain forest or you can simply spend one whole day.
Inviting ecology
Haor - a
wetland ecological system - is known for its spectacular features. There are
several such haors in Sylhet division. Tanguar haor is among the largest and
most beautiful ones. Declared a Ramsar site, the haor plays a vital role in the
fish production by functioning as a natural fishery. During winters, it
welcomes some 200 species of migratory birds. To get the haor in its full glory
one should visit it during the monsoons. Approx. 3000 ha area goes under
several feet of water and the small village homes seem like tiny islands in the
vast expanse of water. The haor is located in Sunamganj district and encompass
two thanas: Dharampasha and Tahirpur. The area is well connected from sylhet by
road.
পারলৌকিক সিলেট
বাংলাদেশে যদি এমন কোনো জায়গা থেকে থাকে যেখানে সৌন্দর্যের সঙ্গে আধ্যাত্মিকতার মিলন ঘটেছে, তবে সেটা হবে সিলেট।আগেকার দিনের সুফি সাধক থেকে শুরু করে আজকের দিনের আধুনিক পর্যটক পর্যন্ত, শত শত বছর ধরে সিলেটের সৌন্দর্যে বিমোহীত হয়ে চলেছে মানুষ। দেশের উত্তরপূর্বে অবস্থিত সিলেট শহরটি এর পাহাড়ি নদী, ঢেউ খেলানো প্রাকৃতিক ভূচিত্র এবং অগণিত বনভূমি দিয়ে যেকোনো ভ্রমণকারীর স্বপ্ন সত্যি করে তুলবে। সুফিদের দিন গত হলেও তাদের জন্য তৈরি মাজারগুলো এখনও পূণ্যার্থীদের কাছে মূল আকর্ষণ হিসেবে রয়ে গেছে। আর যদিও শহরটা নিজেই এক অপরিসীম সৌন্দর্যের আধার, তারপরও আপনি গুটিকয়েক দিনের জন্য শহর ছেড়ে বাইরে চষে বেড়িয়ে চমৎকার সব জায়গা খুঁজে পেয়ে পদে পদে বিস্মিত হবেন।
আধ্যাত্মিকভাবে অনুরক্ত
হযরত শাহ জালাল (রহ.) ছিলেন এমন এক সুফি দরবেশ, চতুর্দশ শতকে মুসলমানদের সিলেট বিজয়ের সঙ্গে যার নাম জড়িয়ে আছে ওতোপ্রতোভাবে। দেশের সব মাজারের মধ্যে তার মাজারটিই সবচেয়ে বেশি দর্শনলাভ করে, আর ওটা শহরের কেন্দ্র থেকে খুব একটা দূরে নয়। ভবনটিতে রয়েছে সুফি দরবেশের সমাধি, সদ্য নির্মিত একটি বড় মসজিদ ও গজার মাছে ভর্তি একটি পুকুর। পূণ্যার্থীরাই ওগুলোকে খাবার দেয় এবং এই খাবার প্রদানকে একটি পবিত্র কাজ হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রতিদিনই দেশের নানা প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ আসে এ মাজারের দর্শন লাভ করতে। সন্ধ্যা হতেই সমাধিটা মোমবাতির আলোয় প্রজ্জ্বলিত হয়ে ওঠে এবং যখন এর কিংখাবে থাকা নিপুন কারুকাজগুলো অন্ধকারে জ্বলজ্বল করতে থাকে, ঠিক তখনই দর্শনার্থীরা চাইলে খুব সহজেই আশপাশের কঠিন বাস্তবতার জগৎ থেকে এক মুহূর্তে আধ্যাত্মবাদের শিখরে পৌঁছে চলে যেতে পারে।জঙ্গলের পথে যাত্রা
সাম্প্রতিক সময়ে রাতারগুল জলা বনটি পর্যটকদের কাছে একটি অন্যতম আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। সিলেটের উত্তর-পূর্বে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সবুজ গাছগাছালিতে ছাওয়া এ জঙ্গলটি দেশের অন্য সকল জঙ্গলের মধ্যে অনন্য। বছরের বেশিরভাগ সময় এটি ৪-৫ ফুট পানির নিচে নিমজ্জিত থাকে, আর এই পানিটা আসে পার্শ্ববর্তী গোয়াইন নদী থেকে। বর্ষার মৌসুমে এ নদীর পানি ভূমি থেকে প্রায় ১৫ ফুট পর্যন্ত উপরে উঠে যায়। গোয়াইন নদীতে নৌকায় চড়া ও এর পাশাপাশি সাঁতার কাটা হতে পারে দারুণ উপভোগ্য।লাউয়াছড়া সংরক্ষিত বনাঞ্চলকে বলা হয় দেশের ক্ষয়িষ্ণু রেইন ফরেস্টের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল। দেশের সবচেয়ে বড় জাতীয় উদ্যান এই লাউয়াছড়া রেইন ফরেস্ট। পাশাপাশি এটাকে একটি প্রাকৃতিক অভয়ারণ্যও বলা হয়। সিলেটের ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানায় (সাব-জেলা) এর অবস্থান। প্রায় ১২০০ হেক্টর এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে আছে এই জঙ্গল। শ্রীমঙ্গলের নয়নাভিরাম ঢেউ খেলানো পাহাড়ের ওপর গড়ে ওঠা চা বাগানের পাশেই এই জঙ্গল। তাই এই জঙ্গলটির ভূগঠনও উঁচু-নিচু এবং অনেকগুলো ক্ষুদে পাহাড় ও চড়াই উৎরাইতে ভরপুর, স্থানীয়ভাবে যেগুলোকে ‘টিলা’ বলে ডাকা হয়। কয়েকটি বিপন্ন স্তন্যপায়ীর অভয়ারণ্য হওয়ার পাশাপাশি এই জঙ্গলে রয়েছে হুলুক প্রজাতির উল্লুক, অন্তত ২০০ প্রজাতির পাখি এবং অগণিত প্রজাতির অর্কিড। সিলেট থেকে সড়কপথে এ জঙ্গল মাত্র আড়াই ঘণ্টার পথ এবং এখানে অবশ্যই ঘুরতে যাওয়া উচিৎ।
No comments:
Post a Comment