Monday, August 17, 2015

Spiritual Sylhet




If there is any place in Bangladesh where beauty meets spirituality then it has to be Sylhet

From the early Sufi saints to the modern day travellers, people have been enthralled by the beauty of Sylhet for hundreds of years. Situated in the northeast corner of the country Sylhet is a traveller’s dream come true with countless hilly rivers, undulating landscape and numerous forest lands. And since the sufi days have gone, the shrine of the Sufis themselves have become a pilgrim’s attraction. While the city itself is a beauty in itself, you will be surprised to discover many other exciting places by stepping outside the city and exploring the nearby areas for a couple of days.

Spiritually inclined

Hazrat Shah Jalal (R) was a saint whose name is associated with the Muslim conquest of Sylhet in early 14th century. His shrine, one of the most visited pilgrimage sites, is not very far from the city center. The compound includes the tomb of the saint, a newly built large mosque and a pond filled with catfish which are fed by pilgrims and is considered a sacred act. Every day thousands of people from every corner of the country visit the shrine. After evening when the tomb is lit up with candles and the rich designs on its brocade shimmer in the dark the visitors easily get elevated to a plateau of spirituality from the harsh reality.


Heading into the forest

In recent times, Ratargul Swamp Forest has become one of the tourist hot spots. A vegetated wetland some 20 km northeast to Sylhet, it is country’s only one such kind of forest. For most time of the year it remains inundated under 4-5 feet water which comes from the adjacent Goain river, which rises upto 15 feet above ground during rainy season. A boat ride along with a swim in the Goain River is highly enjoyable.
Lawachara Reserve Forest is one of the last refuges of the country’s shrinking rain forests. A major national park of the country, Lawachara Rainforest, is also a nature reserve. Situated some 60 km south of the Sylhet at Sreemongol thana (sub-district) in Moulvibazaar district, the forest covers an area of approximately 1,200 ha. The forest is adjacent to the famous rolling hills of the tea plantations of Sreemongol and hence the terrain of the forest itself is also undulating and full of small hillocks locally known as ‘Tila’. Home to some of the endangered mammals, the forest is known for the hoolock gibbons, more than 200 bird species and several species of orchids. It is just two and a half hour by road from Sylhet, and should be explored.

Tea plantations

Sylhet is called the land of tea. So it is no surprise that the whole region abounds in countless tea gardens. A visitor to a tea garden will be enchanted by the picturesquely terraced tea plants on the small hillocks and hills. Occasionally, visitors will be allowed to watch the tea making process in the factory located here. While the choices are many, the Sreemongol Moulvibazaar region has perhaps the most beautiful tea gardens which are within walking distance from the Sylhet city centre. It can be visited as a side trip during a visit to the Lawachara rain forest or you can simply spend one whole day.

Inviting ecology

Haor - a wetland ecological system - is known for its spectacular features. There are several such haors in Sylhet division. Tanguar haor is among the largest and most beautiful ones. Declared a Ramsar site, the haor plays a vital role in the fish production by functioning as a natural fishery. During winters, it welcomes some 200 species of migratory birds. To get the haor in its full glory one should visit it during the monsoons. Approx. 3000 ha area goes under several feet of water and the small village homes seem like tiny islands in the vast expanse of water. The haor is located in Sunamganj district and encompass two thanas: Dharampasha and Tahirpur. The area is well connected from sylhet by road.


পারলৌকিক সিলেট

বাংলাদেশে যদি এমন কোনো জায়গা থেকে থাকে যেখানে সৌন্দর্যের সঙ্গে আধ্যাত্মিকতার মিলন ঘটেছে, তবে সেটা হবে সিলেট।
আগেকার দিনের সুফি সাধক থেকে শুরু করে আজকের দিনের আধুনিক পর্যটক পর্যন্ত, শত শত বছর ধরে সিলেটের সৌন্দর্যে বিমোহীত হয়ে চলেছে মানুষ। দেশের উত্তরপূর্বে অবস্থিত সিলেট শহরটি এর পাহাড়ি নদী, ঢেউ খেলানো প্রাকৃতিক ভূচিত্র এবং অগণিত বনভূমি দিয়ে যেকোনো ভ্রমণকারীর স্বপ্ন সত্যি করে তুলবে। সুফিদের দিন গত হলেও তাদের জন্য তৈরি মাজারগুলো এখনও পূণ্যার্থীদের কাছে মূল আকর্ষণ হিসেবে রয়ে গেছে। আর যদিও শহরটা নিজেই এক অপরিসীম সৌন্দর্যের আধার, তারপরও আপনি গুটিকয়েক দিনের জন্য শহর ছেড়ে বাইরে চষে বেড়িয়ে চমৎকার সব জায়গা খুঁজে পেয়ে পদে পদে বিস্মিত হবেন।

আধ্যাত্মিকভাবে অনুরক্ত

হযরত শাহ জালাল (রহ.) ছিলেন এমন এক সুফি দরবেশ, চতুর্দশ শতকে মুসলমানদের সিলেট বিজয়ের সঙ্গে যার নাম জড়িয়ে আছে ওতোপ্রতোভাবে। দেশের সব মাজারের মধ্যে তার মাজারটিই সবচেয়ে বেশি দর্শনলাভ করে, আর ওটা শহরের কেন্দ্র থেকে খুব একটা দূরে নয়। ভবনটিতে রয়েছে সুফি দরবেশের সমাধি, সদ্য নির্মিত একটি বড় মসজিদ ও গজার মাছে ভর্তি একটি পুকুর। পূণ্যার্থীরাই ওগুলোকে খাবার দেয় এবং এই খাবার প্রদানকে একটি পবিত্র কাজ হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রতিদিনই দেশের নানা প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ আসে এ মাজারের দর্শন লাভ করতে। সন্ধ্যা হতেই সমাধিটা মোমবাতির আলোয় প্রজ্জ্বলিত হয়ে ওঠে এবং যখন এর কিংখাবে থাকা নিপুন কারুকাজগুলো অন্ধকারে জ্বলজ্বল করতে থাকে, ঠিক তখনই দর্শনার্থীরা চাইলে খুব সহজেই আশপাশের কঠিন বাস্তবতার জগৎ থেকে এক মুহূর্তে আধ্যাত্মবাদের শিখরে পৌঁছে চলে যেতে পারে।


জঙ্গলের পথে যাত্রা

সাম্প্রতিক সময়ে রাতারগুল জলা বনটি পর্যটকদের কাছে একটি অন্যতম আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। সিলেটের উত্তর-পূর্বে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সবুজ গাছগাছালিতে ছাওয়া এ জঙ্গলটি দেশের অন্য সকল জঙ্গলের মধ্যে অনন্য। বছরের বেশিরভাগ সময় এটি ৪-৫ ফুট পানির নিচে নিমজ্জিত থাকে, আর এই পানিটা আসে পার্শ্ববর্তী গোয়াইন নদী থেকে। বর্ষার মৌসুমে এ নদীর পানি ভূমি থেকে প্রায় ১৫ ফুট পর্যন্ত উপরে উঠে যায়। গোয়াইন নদীতে নৌকায় চড়া ও এর পাশাপাশি সাঁতার কাটা হতে পারে দারুণ উপভোগ্য।
লাউয়াছড়া সংরক্ষিত বনাঞ্চলকে বলা হয় দেশের ক্ষয়িষ্ণু রেইন ফরেস্টের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল। দেশের সবচেয়ে বড় জাতীয় উদ্যান এই লাউয়াছড়া রেইন ফরেস্ট। পাশাপাশি এটাকে একটি প্রাকৃতিক অভয়ারণ্যও বলা হয়। সিলেটের ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানায় (সাব-জেলা) এর অবস্থান। প্রায় ১২০০ হেক্টর এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে আছে এই জঙ্গল। শ্রীমঙ্গলের নয়নাভিরাম ঢেউ খেলানো পাহাড়ের ওপর গড়ে ওঠা চা বাগানের পাশেই এই জঙ্গল। তাই এই জঙ্গলটির ভূগঠনও উঁচু-নিচু এবং অনেকগুলো ক্ষুদে পাহাড় ও চড়াই উৎরাইতে ভরপুর, স্থানীয়ভাবে যেগুলোকে ‘টিলা’ বলে ডাকা হয়। কয়েকটি বিপন্ন স্তন্যপায়ীর অভয়ারণ্য হওয়ার পাশাপাশি এই জঙ্গলে রয়েছে হুলুক প্রজাতির উল্লুক, অন্তত ২০০ প্রজাতির পাখি এবং অগণিত প্রজাতির অর্কিড। সিলেট থেকে সড়কপথে এ জঙ্গল মাত্র আড়াই ঘণ্টার পথ এবং এখানে অবশ্যই ঘুরতে যাওয়া উচিৎ।


চা বাগান

সিলেট বিভাগকে বলা হয় চায়ের ভূমি। আর তাই গোটা শহরজুড়ে যে অসংখ্য চা বাগান থাকবেই তাতে বিস্ময়ের কিছু নয়। ছোট ছোট পাহাড় ও টিলার ওপর উঁচু করে বানানো চা বাগানের নান্দনিক দৃশ্যপট দেখে যে কোনো দর্শকের মন পুলকিত হবে। বিশেষ কোনো উপলক্ষে এখানকার কারখানাগুলোতে গিয়ে পর্যটকরা চা বানানোর প্রক্রিয়াটাও দেখতে পায়। দেখার মতো যদিও অনেক কিছুই আছে, তথাপি শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজারের চা বাগানগুলোই সবচেয়ে বেশি সুন্দর, আর এগুলো দেখতে সিলেট শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে হেঁটেই যাওয়া যায়। আবার আপনি চাইলে লাউয়াছড়া রেইন ফরেস্ট দেখতে যাওয়ার পথেই আনিন্দ্য সুন্দর চা বাগানগুলো দেখে যেতে পারেন অথবা সেখানে কাটিয়ে দিতে পারেন আস্ত একটি দিন।

বাস্তুসংস্থানের আহ্বানে

জলাভূমির বাস্তুসংস্থান হিসেবে বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন বৈশিষ্ট্যের কারণে হাওর বেশ সুপরিচিত। সিলেট বিভাগে এ ধরনের বেশ কিছু হাওর আছে। আর এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে সুন্দর হাওর বলা যায় টাঙ্গুয়ার হাওরকে। সংরক্ষিত অঞ্চল ঘোষিত এই হাওরটি মাছের প্রাকৃতিক প্রজননক্ষেত্র হিসেবে মাছের উৎপাদনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। শীতের সময় প্রায় ২০০ প্রজাতির পাখিকে স্বাগত জানায় এ হাওর। আর হাওরের সৌন্দর্য পুরোমাত্রায় উপভোগ করতে আসা উচিৎ বর্ষার প্রারম্ভিক মৌসুমে। এখানকার প্রায় ৩০০০ হেক্টর এলাকা ডুবে আছে জলের তলায়। আর চারপাশের থৈ থৈ পানিবেষ্টিত ছোটখাটো গ্রামের ভেতর দাঁড়িয়ে থাকা বাড়িগুলোকে দেখে মনে হবে যেন একেকটা খুদে দ্বীপ। হাওরটি সুনামগঞ্জ জেলায় পড়েছে। ধর্মপাশা ও তাহিরপুর থানা পর্যন্ত গড়িয়েছে হাওরটি। আর এ শহরগুলো সিলেটের সঙ্গে সড়কপথে ভালমতোই যুক্ত।


No comments:

Post a Comment