A strong
domination of lines, circles and geometric designs can be seen in this art
style
The term ‘Art’ includes many forms like
visual arts viz. paintings, pottery, sculpture or performing arts like music,
singing, dancing and others. It is also related to various periods of history
like Renaissance art, modern art, etc. Usually, when the phrase ‘Islamic Art’
is mentioned people tend to think of art related to the religion of Islam. Surprisingly,
this stands incorrect.
In Islam, it is a sin to create an image of
God (in any form) or any living thing, as all living things were created by God
and nobody can infuse life into his or her creation except God. Also, the
making of the image (drawing, painting or sculpting) of any life form is
equivalent to idolatry, which is
against the very basic tenet of Islam. Hence there is no religious art in Islam
like Christian art or Buddhist Art. However, Islamic art exists and yes it is
related to religion but in a different manner.
The evolution
The religion of Islam, as known today, was
spread by Prophet Muhammad (salal-laho-alaihi-wasal-lam)
and its followers are called Muslims. Islamic Art refers to art that are
related to the Muslim world, it relates to art that have been created in the
service of Islam and art produced in land under Muslim rule or influence.
Historically its geographical boundaries spread from Spain to South East Asia
and its temporal limits extend from the time of Prophet Muhammad (salal-laho-alaihi-wasal-lam) about 632
AD to the present. Islamic art has been influenced by the regions it conquered
during its expansion like the Roman, Byzantine and Persian art. It gained
prominence under the reign of the Umayyad dynasty. Other dynasties like the
Abbasid, Safavid, Ottomans and Mughals also influenced this art. As Islam
spread, the Muslim world grew and gradually the Middle East or West Asia more
correctly then North Africa, Spain, central Asia and India came under the folds
of Islam.
Influence of geometry
Restricted
with non-use of life forms, artists turned to abstracts, following which a
strong domination of lines and circles and geometric designs is seen in this
art style. A new form using and
intricate pattern of lines and circles developed called Arabesque. The designs
are made by repeating lines, angles, curves and circles, by overlapping them or
forming shapes and patterns and grids or mosaics. The four major components of
Islamic art which developed are – calligraphy,
vegetal patterns, often overlaid on the geometric
patterns and figural representations,
though Islam frowns on it.
Another
limitation was about not using costly material. So they used cheaper and
readily available material like wood, brass and earth. The various forms of
Islamic art is today seen in religious texts, book illustrations, architecture
like mosques, tombs, pottery, ceramic work, metal ware, rugs and decorative art
works.
The holy book of Islam – the Quran – was
revealed to Prophet Muhammad (salal-laho-alaihi-wasal-lam)
through recitation. Thus it became imperative that the word of God be
transcribed and the Quran was written down in beautiful script and calligraphy
assumed importance befitting the script for a divine revelation. Several styles
of calligraphy developed like the Kufic, Nastalic, Diwani, Thuluth, etc.
This magnificent art form is spread all over
the world. Apart from the Masjid-ul-Haram
at Mecca, the Masjid-ul-Nabawi in Medina and the Masjid-ul-Aqsa in
Jerusalem, the Blue Mosque in Mazar-e-Sharif and the Jama Masjid in Herat in
Afghanistan, and another blue mosque -
the Sultan Ahmed Mosque in Istanbul are some of the other symbols of the art.
However, a major concentration of Islamic art can also be found in the Indian
subcontinent – like the Taj Mahal in Agra, the two red Forts in Delhi and Agra,
the Jama Masjid in Delhi, mosques in south India, the Sidi Bashir Mosque,
famous for its shaking minarets also known as Jhulta Minar in Ahmedabad, just to name a few. Apart from
architecture, blown glass work, lustre work from Basra, Iraq, the ceramic
works- which have been greatly influenced by the Mongols and Chinese etc., the
pile rugs are some of the other notable examples of Islamic art.
ইসলামিক চিত্রকলা
শিল্পকলার এই ধরনটিতে চোখে পড়বে রেখা, বৃত্ত ও জ্যামিতিক নকশার দারুণ প্রভাব‘কলা’ শব্দটি এখন অনেক ধরনের দৃশ্যমান শিল্পকলার সন্নিবেশকে বোঝায়, যার মধ্যে রয়েছে চিত্রকর্ম, তৈযসপত্র, ভাস্কর্য অথবা পারফর্মিং আর্ট যেমন সঙ্গীত, গান গাওয়া, নাচ ও অন্যান্য। এছাড়া, ইতিহাসের অনেক অধ্যায়ের সঙ্গেও এটি জড়িত, যেমন রেনেসাঁ শিল্প, আধুনিক শিল্প ইত্যাদি। সাধারণত, যখনই ‘ইসলামিক শিল্পকলা’র প্রসঙ্গ উঠে আসে তখনই মানুষের দৃশ্যপটে ভেসে ওঠে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কিত শিল্পকলার ছবি। অবাক করা বিষয় হলো, এমন ধারণা ঠিক নয়।
ইসলাম ধর্মে সৃষ্টিকর্তার কোনো প্রতিকৃতি (যে কোনো ধরনের) তৈরি বা জীবন্ত কিছুর ছবি আঁকা পাপ। কেননা, ঈশ্বরই সকল প্রাণী সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি ছাড়া আর কারো পক্ষে কোনো বস্তুতে প্রাণ সঞ্চার করা সম্ভব নয়। এ ছাড়া, কোনো প্রাণীর ছবি তৈরি (ড্রয়িং, পেইন্টিং কিংবা ভাস্কর্য) করা মূর্তি পূজারই নামান্তর বিবেচনা করা হয়, যা ইসলামের মৌলিক মতবাদের পরিপন্থি। আর তাই খ্রিস্টান শিল্প বা বৌদ্ধ শিল্পের মতো ইসলামে কোনো ধর্মীয় শিল্পের স্থান নেই। তারপরও, ইসলামিক শিল্পকলার অস্তিত্ব রয়েছে এবং তার সঙ্গে ধর্মেরও সম্পর্ক আছে, তবে তা খানিকটা ভিন্ন তরিকায়।
বিবর্তন
আজ পর্যন্ত এটাই বিশ্বাস করা হয় যে, ইসলাম ধর্মের প্রবক্তা হলেন মহানবী মোহাম্মদ (সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তার অনুসারীদেরই মুসলমান বলা হয়। ইসলামিক শিল্প বলতে সেই শিল্পকলাকে বোঝায় যা মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ইসলামের সেবা করার উদ্দেশ্যেই এই শিল্পকলার উৎপত্তি এবং মুসলিম শাসন কিংবা প্রভাব ছিল এমন স্থানের সঙ্গে এটি সম্পর্কিত। ঐতিহাসিকভাবে এর ভৌগলিক সীমারেখা ছড়িয়ে গেছে স্পেন থেকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া পর্যন্ত। পাশাপাশি এর কালিক সীমারেখা বিস্তৃত হয়েছে ৬৩২ খ্রিস্টাব্দের নবী মোহাম্মদ (সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময় থেকে আজ পর্যন্ত। যেসব অঞ্চল পর্যন্ত ইসলামের সা¤্রাজ্য এগিয়েছে, সেসব অঞ্চলের প্রভাব পড়েছে ইসলামিক শিল্পকলায়; যেমনটা দেখা গেছে রোমান, বাইজেনটাইন ও পারস্যের শিল্পকলার ক্ষেত্রে। উমাইয়া সা¤্রাজ্যের শাসনামলে এটি বেশ প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়। এছাড়া, আব্বাসীয়, সাফাভি, অটোমান ও মুঘল সা¤্রাজ্যের প্রভাবও পড়েছে এই শিল্পকলার ওপর। ইসলামের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে মুসলিম বিশ্বও বেড়েছে এবং পর্যায়ক্রমে উত্তর আফ্রিকা, স্পেন, মধ্য এশিয়া ও ভারতের চেয়ে মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিম এশিয়াই যথাযথভাবে ইসলামের ছায়ার তলায় আসে।
জ্যামিতির প্রভাব
জীবন্ত কিছুর প্রতিকৃতিতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় এই ধারার শিল্পীরা তাদের শিল্পের ঘরানায় রেখা, বৃত্ত ও জ্যামিতিক নকশার ওপর বেশ খানিকটা জোর দিয়ে চলে গেছেন বিমূর্ততার দিকে। জটিল ঘরানার রেখা ও বৃত্তের সমন্বয়ে তৈরি হলো একটি নতুন ধরন, যার নাম অ্যারাবিস্কিউ। রেখা, কোণ, বক্ররেখা ও বৃত্তকে বার বার ব্যবহার করে, একটির ওপর আরেকটি প্রতিস্থাপন করে নতুন আকার, বিন্যাস, সারি কিংবা মোজাইক তৈরি করেই বানানো হতো নকশা। ইসলামিক শিল্পকলার যে চারটি প্রধান উপকরণের প্রভূত উন্নয়ন ঘটেছিল, সেগুলো হলোÑক্যালিগ্রাফি, উদ্ভিজ বিন্যাস, এবং মাঝে মাঝে জ্যামিতিক নকশার মধ্যে প্রাণীর অবয়বের প্রতিস্থাপন- যদিও এর প্রতি ইসলামের সমর্থন নেই।
আরেকটি সীমাবদ্ধতা ছিল, কোনো ধরনের দামি উপকরণ ব্যবহার না করা। তাই তারা অপেক্ষাকৃত সস্তা ও হাতের কাছে পাওয়া যায় এমন সব উপকরণ যেমনÑকাঠ, পিতল ও মাটি ব্যবহার করেছেন। এখন ইসলামিক শিল্পকলার নানা রূপ চোখে পড়বে ধর্মীয় গ্রন্থ, সচিত্র বই, মসজিদ, সমাধি, মৃৎশিল্প, চিনামাটির পণ্য, ধাতব অণুষঙ্গ, চাদর ও আলংকরিক শিল্পকর্মের মাঝে।
ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন, মহানবী মোহম্মদ (সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওপর অবতীর্ণ হয়েছিল পুরোপুরি তেলাওয়াতের মাধ্যমেই। আর সেই থেকে এটা এক ধরনের অপরিহার্য কাজ হয়ে উঠলো যে সৃষ্টিকর্তার বাণীকে লিপিবদ্ধ করতেই হবে। এভাবেই আল কোরআন সুন্দর অক্ষরে লিপিবদ্ধ হয় এবং এর স্বর্গীয় প্রতিভাসকে ফুটিয়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে ক্যালিগ্রাফি। অনেক ধরনের ক্যালিগ্রাফির প্রচলন রয়েছে, যার মধ্যে আছেÑকুফিক, নাসতালিক, দিওয়ানি, তুলুত ইত্যাদি।
এই অনবদ্য শিল্পকলার ধরনটি এখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। মক্কার মসজিদ-উল-হারাম, মদিনার মসজিদ-উল-নবাবি এবং জেরুজালেমের মসজিদ-উল-আকসা ছাড়াও, আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরিফ এর নীল মসজিদ ও দেশটির ঠিক কেন্দ্রে থাকা জামে মসজিদ, এবং ইস্তানবুলের সুলতান আহমেদ মসজিদ নামের আরেকটি নীল মসজিদও এ শিল্পকলার প্রতীক বহন করে আছে। তথাপি, ভারতীয় উপমহাদেশেও বিপুল পরিমাণে ইসলামিক শিল্পকলার উপস্থিতি চোখে পড়বে। যার মধ্যে গুটিকয়েক নাম হলোÑ আগ্রার তাজ মহল, দিল্লি ও আগ্রার দুটো লাল কেল্লা, দিল্লির জামে মসজিদ, দক্ষিণ ভারতের মসজিদ, সিদি বশির মসজিদ, কম্পমান মিনারের জন্য বিখ্যাত হয়ে যাওয়া আহমেদাবাদের ঝুলতা মিনার। স্থাপত্য শৈলীর বাইরে আছে প্রস্ফূটিত কাচের কারুকাজ, ইরাকের বসরার দীপ্তি ছড়ানো সিরামিকের কারুকাজ, যা কিনা বেশ ভালোভাবেই মোঙ্গল ও চীনাদের কাছ থেকে প্রভাবিত হয়েছিল। এছাড়া অন্যান্য সামগ্রীর মধ্যে বড় গালিচাও ইসলামিক শিল্পকলার জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ বহন করে আছে।
No comments:
Post a Comment