A farmer’s revolution
and the beginning of modern theatre in India all owe their origins to a simple
dye, which is being revived once again through individual efforts and project
of an international organisation
Gone are the days when farmers showed reluctance to sow a
single seedling of indigo plant and faced tyranny from the British rulers.
Cultivation of indigo has now turned into a blessing, a way to change
socio-economic condition of hundreds of farmers in various villages across
Bangladesh. Farmers of Rajendrapur under Rangpur Sadar upazila are cultivating
indigo and producing dye from it, which they call ‘True Bengal Natural Indigo
Dye’.
Indigo's Dark past
There was a time when indigo farming was no more considered
a blessing across Bangladesh as farmers were reluctant in sowing the seeds of
the plant. Excavations at the ruins of the Indus Valley Civilisation (3300-1300
Before Current Era) unearthed seeds of the Indigofera
plant, while remnants of blue dyed cloth, which still looked vibrant after all
these years were also discovered in sites of Ancient Egypt.
However, the indigofera
tinctoria (a species of plant from
the bean family that was one of the original sources of indigo dye), which is found in Bangladesh, is
supposed to be one of the best known kinds. Also known as Bengal Indigo or True
Indigo, it was one of the East India Company’s biggest export items of the 19th
century. Although the export was tainted with blood of the Bengal farmers,
which lead to the Indigo Revolt or Neel
Bidroho. Forbidden to grow food
crops, the farmers were forced to produce indigo on massive scales. And they
were given a very nominal fee of the original price of indigo, leading to a
hand to mouth existence.
Caught in this quagmire of low income and returns, the
farmers revolted in 1859 and the Neel
Kuthis or indigo factories were burned. But a severe crop failure, coupled
with the revolts and the discovery of synthetic indigo by a German scientist in
1865, lead to the eventual collapse of indigo farming. Dinabandhu Mitra also
influenced minds through his play, Nil
Darpan or the Mirror of Indigo which was anonymously published from Dhaka
in 1860 and translated into English, leading to strong reactions in India as
well as Britain.
So as the farmers wiped out all memory of the tainted indigo
plantations, the indigofera tinctoria
was somehow lost in the fields of North Bangladesh. Thought to be useful for
crop rotations only, the locals were calling it maal gaach in areas like Rangpur and Nilphamari.
Back to present
But today, indigo has a re-invented image, thanks to the
efforts of individuals like Ruby Ghuznavi, the Menonite Central Committee and a
project run by CARE Bangladesh, bringing this dyeing technique back in vogue. A
group of locals in collaboration with CARE-B have formed a social enterprise called
Nijera Cottage and Village Industries (NCVI) in the Rangpur environs. A union
of the old and the modern, Japanese nui
shibori meets the ancient Bangladeshi needlework techniques to form quilts
or khetas using a wave like design or
the dheu kheta. International experts
merge local knowledge into creating works of art that pay homage to this most
ancient natural dye. From a bloody revolt to a re-invention of the lost arts,
indigo continues to enchant us with its sheer vibrancy.
নীলের পুনর্জাগরণ
একজন কৃষকের বিপ্লব এবং
ভারতে আধুনিক থিয়েটারের যাত্রা; এসব কিছুই একটি মাত্র সাধারণ ডাই-এর প্রতি কৃতজ্ঞ।
যা কিনা এখন আবার জেগে উঠেছে, ব্যক্তিগত ও একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রকল্পের উদ্যোগে।
সেসব দিন গত হয়েছে, যে
সকল দিনে কৃষকরা একটি নীলের চারাও রোপণ করতে চাননি এবং তাদেরকে ব্রিটিশ শাসকদের কঠিন
অত্যাচারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। নীলের চাষ এখন রীতিমতো আশীর্বাদে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের
অনেকগুলা গ্রামের শত শত কৃষকের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বদলে দেওয়ার একটি রাস্তা খুলে দিয়েছে
এটি। রংপুর জেলা সদরের রাজেন্দ্রপুর উপজেলার চাষীরা এখন নীল চাষ করছে ও তা থেকে রং
তৈরি করছে। ওটাকে তারা নাম দিয়েছে, 'খাঁটি বাংলা প্রাকৃতিক নীল ডাই'।
নীলের অন্ধকার অতীত
একটা সময় ছিল যখন নীল চাষকে
মনে করা হতো একটা আশীর্বাদ। তখন বাংলাদেশের চাষীরাও আগ্রহ নিয়ে রোপণ করতো এর চারা।
সিন্ধু সভ্যতার ধ্বংসস্তূপ (বর্তমান যুগের ৩৩০০-১৩০০ বছর আগে) খুঁড়ে পাওয়া ইন্ডিগোফেরা
গাছের বীজ পাওয়া গেছে, আরও পাওয়া গেছে নীল ডাই করা কাপড়। এত বছর পরও যে কাপড়ের ঔজ্জ্বল্য
এতটুকু কমেনি। প্রাচীন মিশরের বিভিন্ন প্রতœতাত্ত্বিক সাইটেও এমনটা পাওয়া গেছে।
যাই হোক না কেন, ইন্ডিগোফেরা
টিংকটোরিয়া (উদ্ভিদের এমন এক প্রজাতি যা শিমের গোত্র থেকে এসেছে এবং যা নীল ডাইয়ের
প্রাথমিক উৎসগুলোর একটি) যা বাংলাদেশে পাওয়া গিয়েছিল, তা এর সেরা জাতগুলোর একটি। এর
আরেক নাম বেঙ্গল নীল বা খাঁটি নীল। উনিশ শতকে এটাই ছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সবচেয়ে
বড় রফতানি পণ্য। তবে রফতানি করা ওই নীলে মিশে ছিল বাঙালি কৃষকদের রক্ত, যা থেকে পরে
জন্ম হয় নীল বিদ্রোহের। অন্যান্য খাদ্যপণ্য ফলাতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল কৃষকদের ওপর।
ব্যাপক হারে নীল চাষের জন্য কৃষকদের বাধ্য করা হতো। আর বিনিময়ে নীলের আসল দামের অত্যন্ত
ক্ষুদ্র একটা অংশ দেওয়া হতো তাদের। কোনওরকম এক বেলা খেয়ে বেঁচে থাকতে হতো ওই কৃষকদের।
অল্প আয়ের এই পঙ্কিলতায়
আটকা পড়ে ১৮৫৯ সালে বিদ্রোহ করে বসে কৃষকরা। নীল কুঠি আর কারখানাগুলো পুড়িয়ে দেয় তারা।
তখন বিদ্রোহের ফলে শস্যের যোগান বন্ধ হয়ে যাওয়া ও একই সময়ে জার্মান বিজ্ঞানীর কৃত্রিম
নীল আবিষ্কারের ফলে ১৮৬৫ সালের দিকে ধীরে ধীরে পতনের দিকে যায় নীল চাষ। এ কাজের পেছনে
ভূমিকা রেখেছিল দীনবন্ধু মিত্রের 'নীল দর্পণ' নামের একটি নাটকও (মিরর অব ইনডিগো)। ঢাকা
থেকে বেনামে যে নাটক প্রকাশ হয়েছিল ১৮৬০ সালে এবং অনূদিত হয়েছিল ইংরেজিতেও। ভারতসহ
ব্রিটেনেও যে কাহিনী বেশ বড় সাড়া ফেলেছিল।
এক পর্যায়ে যখন কৃষকরা
রক্তস্নাত সেই নীল চাষের স্মৃতি মুছে দিল, তখন উত্তরবঙ্গের জমিগুলো থেকে কোনও এক ভাবে
হারিয়ে যায় ইনডিগোফেরা টিংকটোরিয়া। শস্যচক্রের মাঝেই কেবল এই ফসল উপকারী বলে রংপুর
ও নীলফামারীর মতো এলাকার লোকজন এটাকে মাল গাছ বলেও ডাকে।
নীলের ফিরে আসা
কিন্তু এখন নীল ফিরে পেয়েছে
এক পুনঃআবিষ্কৃত ভাবমূর্তি। আর এর জন্য কৃতিত্বের দাবিদার হলেন রুবি গজনভী, মেনোনাইট
সেন্ট্রাল কমিটি এবং কেয়ার বাংলাদেশ পরিচালিত একটি প্রকল্প। ডাই করার প্রায় মৃত এ পদ্ধতিটাকে
আবার জনপ্রিয় করলেন তারা। রংপুরের প্রতিবেশে কেয়ার বাংলাদেশের সহায়তায় একদল স্থানীয়
জনগণ তৈরি করেছে নিজেরা কটেজ ও ভিলেজ ইন্ডাস্ট্রিজ (এনসিভিআই) নামের একটি সামাজিক সংগঠন।
পুরনোর সঙ্গে আধুনিকতার এক মিশেল এটি, যেখানে জাপানি নুই শিবোরি'র সঙ্গে মিলেছে প্রাচীন
বাংলার সূঁচ-সুতোর পদ্ধতি। দুটো মিলে তৈরি হচ্ছে বিশেষ ধরনের ঢেউ খেলানো নকশার কাঁথা
তথা 'ঢেউ কাঁথা'। আন্তর্জাতিক দক্ষ কারিগররা স্থানীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার মিশেল ঘটিয়ে
তৈরি করছেন অনবদ্য সব শিল্পকর্ম যার মাধ্যমে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হচ্ছে সুপ্রাচীন
ওই ডাই করার পদ্ধতির প্রতি। রক্তাক্ত বিদ্রোহ থেকে পুরনো এক শিল্পের পুনর্জাগরণ; জমকালো
রঙের ছটায় নীল আজও আমাদের বিমোহীত করে চলেছে।
No comments:
Post a Comment