Friday, August 7, 2015

Oxford Bookstore in New Delhi: The New-age Bookstore





The New-Age Bookstore

Offering a contemporary space for the mind to unwind, Oxford Bookstore in New Delhi goes way beyond than offering just good books

Walking down the dusty corridors of Connaught Place in the heart of India’s Capital, New Delhi, I find myself around the bend on N Block. A red-n-white poster announcing Oxford Bookstore, stands proudly beside the archaic arched doorway, a store whose name brings to mind a haven for bibliophiles.

Glistening neon lights and pristine white walls greet you as a horde of coffee table books, ranging from design to the Mughal art, embellish the shelves. As one passes through the domed section of the store, is a large table that houses the bestsellers and special discounted ones. The only real decor that adorns its walls are the books. Placed neatly in equally spaced shelves, the vibrant book covers from every genre stand out to entice the customers, from Food, Design, Travel, Translations, Non-Fiction, Bestsellers, Bengali titles, etc.

Something for all
Oxford Bookstore in New Delhi is not your typical bookstore, with wooden panels, musty smell and where books are stacked in messy piles in every corner. It is in fact, the opposite. A contemporary bookstore, it resembles the new age in every way. A true pioneer of this segment, there is even a separate touchscreen desktop available for customers, where they can swipe and type to complete their search. Various sections are even clubbed together in metallic carts, much resembling the 'kitschy milk cart', so one can easily browse through Indian books translated into French, feminist books by Zubaan, award winning novels, among others.


Books perched on the shelves are neatly placed in various sections, such as Translations, Indian Fiction, International Fiction, etc. A section that caught my eye was the one on Pakistani writers, offering books by Fatima Bhutto and Javaid Qazi, among others. Just as the world has witnessed a spurt in Indian authors and young writers, a new generation of Bangladeshi novelists, writers from Pakistan and the Middle East are joining the global literary community because, more and more are now writing their fiction in English, and are building more readership in India.
Opened in April 2013, the store has seen a spurt in takers for the children's section. So be it Ruskin Bond, Rudyard Kipling, Enid Blyton to the contemporary authors - Jonathan Stroud, Percy Jackson, there are numerous titles to satiate the imaginative, active and adventurous young mind. This section even has a blue soft-padded pool in a corner that is hard to miss, allowing children to dive into the realm of the imaginary with their books, or to curl up with their favourite pick.

Going beyond books
The centre of the store has large box-like compartments that display a range of coffee table books on one side, from the Allure of Men by Francois Baudot to those on Islamic art. On the other side, Playclan, with its quirky and Indian pop art stationery, purses, etc., and Oxford merchandise are available. There is even a small counter for Soultree cosmetic products. Also, a blue padded seating area is for the tired and ruminative shoppers. The wall is lined with books from floor to ceiling, and there are even rotating bookshelves having books, magazines and DVDs.
An integral part of the store is the ‘Cha Bar’, a different take on the typical coffee shops that find their way to bookstores. Nearly full with customers, the delicate aroma of baked goodies and beverages wafts in the air. Customers can seat themselves around circular white tables and vintage chairs. Patrons indulge in hearty conversations and some sit deep in concentration with books in the contemporary and relaxing ambience. Guests can choose from a variety of teas, be it organic, herbal, diet, fruit, to the exclusive range of Darjeeling, Nilgiri, Sikkim and Oolong, complimented by the best in Arabic, Chinese, Japanese, Moroccan, Russian, Sri Lankan, South African and Thai teas. Customers are spoilt for choices.
Thankfully in the year of e-books and e-readers, bookstores are still heavily frequented. Even if the culture of e-books is getting stronger worldwide. But with rising footfalls, i.e., 17% year-on-year growth for this store, shows people still love pages that they wish to touch, smell deep into them and carry in their hands. They are, still, best friends one can have.





অক্সফোর্ড বুকস্টোর: নয়াদিল্লি
নয়াদিল্লির অক্সফোর্ড বুকস্টোরে শুধু যে ভালো ভালো বই সাজানো আছে তা নয়, সমসাময়িক আবহের ঝাপটায় মনের যাবতীয় ঝুটঝামেলা কাটিয়ে দিতেও এর জুড়ি নেই।

কনট প্লেসকে বলা হয় ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লির প্রাণকেন্দ্র। এর ধুলোময় রাস্তা ধরে হাঁটছিলাম। এক সময় নিজেকে আবিষ্কার করলাম এন ব্লকের মোড়ে। একটি লাল-সাদা পোস্টার সমস্বরে ঘোষণা করছে একটি নাম- অক্সফোর্ড বুকস্টোর। সুপ্রাচীন একটি খিলান দরজার পাশে সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে বিপণীটি। এটা এমন এক দোকান, বইপাগলদের কানে যার নামটা এনে দেয় এক স্বর্গীয় অনুভূতি।

ঝকঝকে নিয়ন বাতি ও আদিমতার ছোঁয়ায় নির্মিত সাদা দেয়ালগুলো আপনাকে অভিবাদন জানাবে। মুঘল নকশার আদলে নির্মিত  তাকগুলোকে অলংকৃত করে আছে এক সারি বই। ডোম আকৃতির বিভাগে ঢুঁ মারলে দেখবেন একটি বড় টেবিল জুড়ে আছে বেস্টসেলার ও এমন কিছু বিশেষ বই যেগুলোতে ডিসকাউন্ট চলছে। এর দেয়ালসজ্জার একমাত্র উপকরণ হলো বই। পরিপাটি করে সাজানো তাকগুলোর মাঝে রাখা হয়েছে সমপরিমাণ ফাঁকা জায়গা। প্রতিটি ঘরানার স্পন্দনশীল প্রচ্ছদগুলো ক্রেতাদের প্রলুব্ধ করছে যেন। খাবার, নকশা, ভ্রমণ, অনুবাদ, নন-ফিকশন, বেস্টসেলার, বাংলা বই কী নেই এখানে!

সবার জন্য একটা কিছু
নয়া দিল্লির অক্সফোর্ড বুকস্টোর আর আট-দশটা বইয়ের দোকানের মতো নয়। কাঠের প্যানেল ও পুরনো কাগজের গন্ধ পাওয়া যাবে এখানে। প্রতিটি কোণায় স্তূপ করে রাখা হয়েছে বই। মোটকথা, অন্যসব দোকানের একেবারে বিপরীত বলা যায়। একটি সমকালীন বইয়ের দোকান হিসেবে এটি প্রায় সব দিক দিয়েই নতুন প্রজন্মের ইঙ্গিত বহন করে চলেছে। বই বিপণীর জগতে এটি সত্যিকার অর্থে অগ্রদূত হয়ে আছে। দোকানটির এক কোণায় একটি টাচস্ক্রিন ডেস্কটপ কম্পিউটার পর্যন্ত আছে। যেখানে ক্রেতারা হাত বুলিয়ে খোঁজাখুঁজির কাজটা সেরে নিতে পারবেন। অনেকগুলো বিভাগ আবার ধাতব পাতের মাধ্যমে জোড়া লাগানো। দেখতে অনেকটা কিশচি মিল্ক কার্ট এর মতো। এতে করে ফরাসি ভাষায় অনূদিত ভারতীয় বই থেকে শুরু করে জুবানের লেখা নারীবাদী গ্রন্থ, পুরস্কারপ্রাপ্ত ও অন্যান্য বইগুলো যে কেউ সহজেই খুঁজে পাবে।

তাকিয়ার ওপর রাখা বইগুলো নানা বিভাগ অনুযায়ী সাজানো আছে। যেমন- অনুবাদ, ভারতীয় কল্পকাহিনী, আন্তর্জাতিক ফিকশন ইত্যাদি। একটি বিভাগ আমার নজর কেড়েছিল। ওটা ছিল পাকিস্তানি লেখকদের জন্য। যেখানে অন্যান্যদের মধ্যে চোখে পড়েছে ফাতিমা ভুট্টো ও জাভাইদ কাজির মতো লেখকদের বই। ভারতের গ্রন্থকার ও তরুণ লেখকদের মধ্যে যে বিচ্ছুরণ ঘটেছে তা বিশ্ব ইতিমধ্যেই অবলোকন করেছে। এর সঙ্গে বাংলাদেশি ঔপন্যাসিক, পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা লেখকরাও সমানতালে অংশ নিতে শুরু করেছে বিশ্ব সাহিত্য অঙ্গনে। কেননা, এদের মধ্যে অনেকেই এখন ইংরেজিতে সাহিত্য রচনা করছেন এবং একইসঙ্গে তারা ভারতে তাদের পাঠক তৈরি করে চলেছেন। 
২০১৩ সালের এপ্রিলে চালু হওয়ার পর থেকেই বইয়ের দোকানটি শিশুদের বিভাগের জন্য বেশ ভাল চাহিদা লক্ষ্য করেছে। হতে পারে সেটা রাসকিন বন্ড, রুডিয়ার্ড কিপলিং, এনিড ব্লাইটন কিংবা সমকালীন লেখক জোনাথন স্ট্রাউড, পার্সি জ্যাকসন; তরুণ মনের সৃজনশীল, ক্রিয়াশীল ও রোমাঞ্চ অনুভূতি চরিতার্থ করার জন্য আছে এমন লেখকদের অগণিত বই। এই বিভাগটির এক কোণায় যে নরম প্যাডের পুল রয়েছে সেটাকে এড়িয়ে চলা অসম্ভব। শিশুরা যাতে তাদের বইয়ের কল্পনাটুকুকে সঙ্গী করে যেন খানিকটা বাস্তবতার ছোঁয়ায় ডুবে যেতে পারে, সে জন্যই এ ব্যবস্থা। অথবা শিশুরা চাইলে তাদের প্রিয় বইটাকে বাগিয়ে নিয়েও মেতে উঠতে পারে হই হুল্লোড়ে। 

বই ছাড়িয়ে
বিপণীর ঠিক মাঝের অংশে দেখা যাবে একটি বড় বাক্স আকৃতির কম্পার্টমেন্ট, যার এক পাশে প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে এক সারি কফি টেবল বুক (আকারে বড় ও শক্ত কভারের বই)। তাতে ফ্রাসোঁয়া বাউদুর অ্যালিউর অব ম্যান থেকে শুরু করে ইসলামিক চিত্রকলার ওপর রচিত বইও আছে। অন্যদিকে পাওয়া যাবে প্লেক্ল্যান যাতে নানা বিচিত্র পণ্যের পাশাপাশি পাবেন ভারতের পপ আর্ট স্টেশনারী, পার্স ইত্যাদি সামগ্রী। অক্সফোর্ডের জিনিসপত্রও আছে সেখানে। সোলট্রি ব্র্যান্ডের প্রসাধনের জন্যেও একটি ছোট কাউন্টার আছে এখানে। আর ঘুরে ঘুরে যারা ক্লান্ত হয়ে পড়বেন অথবা চিন্তার জন্য যাদের খানিকটা বসে থাকার প্রয়োজন তাদের জন্য আছে একটি নীল রঙের প্যাডযুক্ত বসার জায়গা। দেয়ালের দিকে তাকালে দেখবেন মেঝে থেকে সিলিং পর্যন্ত বইয়ের সারি। একটি ঘুরন্ত তাকও আছে, যেখানে বইয়ের পাশাপাশি সাজিয়ে রাখা হয়েছে ম্যাগাজিন ও ডিভিডি।
বই বিপণীটির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে চা বার। গতানুগতিক কফি শপের খানিকটা বাইরে গিয়ে বুকস্টোরে এটা তার মতো করে জায়গা করে নিয়েছে। সবসময়ই ক্রেতায় টইটম্বুর। বেক করা নানান খাবার ও পানীয়র সুবাসে বাতাস যেন ম ম করে। ক্রেতাদের বসার জন্য গোলাকার সাদা টেবিলের চারপাশে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী নকশায় তৈরি চেয়ার। বড় মাপের পাঠকদের কেউ কেউ নিজেদের মধ্যে গভীর আলাপচারিতায় মগ্ন হয়ে যান, আবার কেউ আছেন যারা ঈষদুষ্ণ আরামদায়ক পরিবেশে গভীর মনোযোগে বই পড়ে যান। অতিথিরা যার যার রুচি মতো চা পান করতে পারেন। আর সেই চা হতে পারে অর্গানিক, হার্বাল, ডায়েট, হরেক ফল, দার্জিলিং, নীলগিরি, সিকিম কিংবা ওলোং থেকে আসা। পাশাপাশি আরব, চাইনিজ, জাপানিজ, মরোক্কান, রাশিয়ান, শ্রীলংকান, সাউথ আফ্রিকান ও থাই চায়ের প্রশংসাও শোনা যাবে ঢের। পছন্দ করা নিয়ে বিপদেই পড়ে যান ক্রেতারা।

এটা ভালো খবর যে ই-বুক আর ই-রিডারের যুগেও বইয়ের দোকানগুলোতে ভিড় লেগে আছে। অবশ্য এখন বিশ্বব্যাপী ই-বুক এর সংস্কৃতি ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে। তারপরও বই বিপণীতে বাড়ছে পদচারণা। বছরে গড়ে বইয়ের দোকানটিতে ক্রেতা বাড়ছে ১৭ শতাংশ হারে। যা প্রমাণ করে, মানুষ এখনও পাতা ওল্টাতে ভালবাসে, তারা চায় বইকে স্পর্শ করতে, ঘ্রাণ নিতে এবং নজেদের হাতে নিয়ে ঘুরতে। এতে সন্দেহ নেই যে, বই এখনও মানুষের সেরা বন্ধু।

No comments:

Post a Comment