Sunday, March 1, 2015

For the love of the ‘heartland’


Yasmin Choudhury, a British-born woman of Bangladeshi heritage, wants to make Bangladesh a top tourist destination through her brand Lovedesh



What is Lovedesh?

It is not charity. Nor a tour operator but a British philanthropic brand aimed at smashing stigma surrounding developing countries.

How did you come up with Lovedesh & Amcariza Foundation?

Since the time my father died in 2004, a lot of things happened till 2010 that totally changed my life. However, I never led bad moments rule or overwhelm me. Inspired from my late father, I also wanted to do something for my heartland Bangladesh. So I came up with Lovedesh and to this day, I continue to work alone and feel my father's spirit alongside me all the way.

How do you plan to achieve this?

The good stuff that exists here needs to be lifted up. This content just needs to be taken and showcased to the right people in the right way. I am doing this to highlight the stunning sights and good times I experience, all of which exist each time I visit Bangladesh.


You have ‘Lovedesh voyage, heritage and concierge' services. What is the difference between the three?

Voyage is a top of the range escorted tour to nations like Bangladesh, Ethiopia, Kashmir, led by someone who has the knowledge of the country or region. 
Heritage is a tour for the diaspora – who are disconnected from their Bangladeshi heritage. 
Concierge is a bespoke planning service that allows me to help people access Bangladesh at a cost effective manner. I curate and plan their trip based on their preferences and they book direct.

You recently got a journalist a British newspaper to visit Bangladesh?

I won the Fringe World Travel Market Nov 2014 and one of the judges was a journalist from The Guardian. We then met and spoke and when she reached out to tell me she was convinced I was right to ask the world to give Bangladesh a chance and wanted to visit. I knocked the door of Biman Bangladesh Airlines, as I had no money to bring her. Thankfully, Biman agreed and I was given free tickets. I am really grateful to Biman as without this help The Guardian could not have visited Bangladesh.

What according to you is the best thing in Bangladesh?

The people, their warmth, humour and heart is what keeps me coming back. Not to forget the food and the serene scenery. I also like the nature spot resorts pioneered by people like Nazmin Kamran Choudhury -- The Wilderness is one of my favourite places.


Any favourite Bangladeshi food?

Fried Hilsa, Fushka and authentic Sylheti dishes such as shutki (dry fish), the vegetables (kata, mukhi, dried jackfruit seed, nail shag) also the khatta - wet sour fish soup that uses a variety of tangy, sour ingredients.


How do you think tourism can be promoted in the country?

The stakeholders need to work together and change the narrative to a one that is more positive, thrilling, awesome and also focus on sustainable tourism. Bangladesh has its own USPs -- its own unique aspects unavailable anywhere in the world. Tour operators need to learn the art of luring foreigners to visit Bangladesh again and again.


'হৃদয়নগর'-এর জন্য ভালবাসা

ইয়াসমিন চৌধুরী, জন্মসূত্রে ব্রিটিশ হলেও বংশগতির সূত্রে তিনি বাংলাদেশি। তিনি তার নিজের 'লাভদেশ' ব্র্যান্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের সেরা একটি পর্যটন দেশে পরিণত করতে চান।



লাভদেশ কী?

এটা কোনও দাতব্য প্রতিষ্ঠান নয়। কোনও ট্যুর অপারেটরও নয়। এটি একটি জনকল্যানমূলক ব্রিটিশ ব্র্যান্ড, যার কাজ হলো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ঘিরে জুড়ে থাকা যাবতীয় কলঙ্কগুলোকে গুড়িয়ে দেওয়া।



লাভদেশ ও আমকারিজা ফাউন্ডেশন গড়ে তোলার ধারণা পেলেন কীভাবে?

২০০৪ সালে বাবা মারা যাওয়ার পর ২০১০ সাল পর্যন্ত আমার জীবনে প্রচুর ঘটনা ঘটেছিল, যেগুলো আমার জীবনকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছিল। তথাপি, আমি কখনও খারাপ কোনও মুহূর্তকে আমার ওপর ছড়ি ঘোরাতে দেইনি, কিংবা আমাকে গ্রাস করতেও পারেনি। আমার বাবার মতো আমিও আমার হৃদয়ভূম বাংলাদেশের জন্য একটা কিছু করার অনুপ্রেরণা পাই। আর তাই আমি লাভদেশ-নিয়ে এগিয়ে আসি এবং আজ পর্যন্ত আমি একা একাই কাজ করে যাচ্ছি। তবে বাবার আত্মিক উপস্থিতিটা আমি আমার পাশে সবসময়ই অনুভব করেছি।



এমনটা অর্জনের জন্য পরিকল্পনা করেন কী করে?

এখানে যে ভাল ভাল বিষয় রয়েছে, সেগুলোকে তুলে ধরার দরকার ছিল। এই উপকরণগুলোকে শুধু মাত্র সঠিক সময়ে সঠিক মানুষের সামনে সাজিয়ে গুছিয়ে প্রদর্শন করানোর দরকার। আমি এমনটা করে চলেছি কারণ আমি চাই সেই সকল চোখ ধাঁধানো দৃশ্য ও ভাল মুহূর্তগুলোকে তুলে নিয়ে আসতে, যেগুলো আমি প্রতিবার বাংলাদেশ ভ্রমণের সময় অনুভব করে এসেছি।



আপনার তো 'লাভদেশ ভয়েজ, হেরিটেজ ও প্রহরী (কনয়িার্জ)' সেবা রয়েছে। এ তিনটির মধ্যে পার্থক্য কোথায়?

ভয়েজ হলো বাংলাদেশ, ইথিওপিয়া, কাশ্মিরের মতো কিছু দেশে সবচেয়ে উঁচুদরের এসকর্টেড ট্যুর। আর এর নেতৃত্বে থাকে এমন কেউ থাকে, যার কি-না ওই দেশ বা অঞ্চল সম্পর্কে অগাধ জ্ঞান রয়েছে।
হেরিটেজ হলো প্রবাসীদের জন্য আয়োজিত ট্যুর। যারা কি-না তাদের বাংলাদেশি ঐতিহ্য থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে।
আর কনসিয়ার্জ তথা প্রহরীর সেবাটা হলো অনেকটা নির্দেশমাফিক সেবা। যার ফলে আমি মানুষজনকে স্বল্পখরচে বাংলাদেশ দেখার ব্যবস্থা করে দেই। তাদের ইচ্ছানুসারে আমি তাদের ট্যুর-এর পরিকল্পনা করি ও পরিচালনা করি, আর তারা সরাসরি এই ট্যুর বুক করতে পারে।



সম্প্রতি একজন ব্রিটিশ পত্রিকার সাংবাদিককে বাংলাদেশ দেখাতে সাথে এনেছিলেন?

আমি ফ্রিঞ্জ ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল মার্কেট নভেম্বর ২০১৪ পুরস্কারটি জিতেছিলাম। যে পুরস্কারের একজন বিচারক ছিলেন দ্য গার্ডিয়ান সংবাদপত্রের সাংবাদিক। এরপর আমরা দেখা করি, কথা বলি। তিনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানিয়েছিলেন যে, বাংলাদেশ ভ্রমণ করে বিশ্ববাসীর উচিৎ দেশটাকে একবার হলেও সুযোগ দেওয়া, এই ব্যাপারটি তুলে ধরে আমি কোনও ভুল করিনি এবং তিনি দেশটিতে ভ্রমণ করতেও উদগ্রীব হয়েছিলেন। এরপর আমি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে যোগাযোগ করি। ওই সাংবাদিককে দেশে নিয়ে আসার মতো টাকা আমার ছিল না। আর তাই বিমানকে ধন্যবাদ জানাবো যে এটা আমাকে ফ্রি টিকিট দিতে রাজি হয়েছিল। আমি সত্যিই বিমানের প্রতি দারুণ কৃতজ্ঞ, কেননা, তাদের ওই উপকারটি ছাড়া গার্ডিয়ান পত্রিকার বাংলাদেশ দেখা হতো না।



আপনার মতে বাংলাদেশের সেরা জিনিস কোনটি?

বাংলার মানুষ, তাদের উষ্ণতা, রসবোধ এবং হৃদয়; এগুলোর কারণেই আমি এখানে বার বার ফিরে আসি। অবশ্য খাবার আর ¯িœগ্ধ দৃশ্যপটের কথা ভুলিনি। এ ছাড়া নাজিম কামরান চৌধুরীর মতো মানুষদের দেখানো পথে নির্মিত প্রাকৃতিক স্পট রিসোর্টগুলোও পছন্দ করি। আমার সবচেয়ে প্রিয় জায়গাগুলোর একটি হলো দ্য ওয়াইল্ডারনেস।



প্রিয় কোনও বাংলাদেশি খাবার?

ইলিশ ভাজা, ফুচকা এবং সত্যিকারের সিলেটি ডিশ যেমন শুটকি, সবজি ও (কাটা, মুখি, শুকনো কাঁঠাল বিচি, নাইল শাক) খাট্টা- এটা হলো মাছের এক জাতীয় টক স্যুপ যাতে অনেক ধরনের চটকদার ও টক উপাদান মেশানো থাকে।



এই দেশে পর্যটনের প্রচারণা কিভাবে করা যায় বলে মনে করেন?

এই ক্ষেত্রে জড়িত সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং যাবতীয় বর্ণনার একটি রূপ প্রণয়ন করতে হবে যা কিনা আরও বেশি ইতিবাচক, শিহরণমূলক ও অসাধারণ শোনায় এবং সবাইকে টেকসই পর্যটনের দিকে নজর দিতে হবে। বাংলাদেশের নিজস্ব ইউএসপি রয়েছে-- এর অনন্য কিছু বৈশিষ্ট্য বিশ্বের আর কোথাও পাওয়া যাবে না। বাংলাদেশে যাতে বার বার ভ্রমণ করতে আসে এজন্য বিদেশি পর্যটকদের লোভ দেখানোর তরিকাটাও শিখতে হবে ট্যূর অপারেটরদের।

No comments:

Post a Comment