There are numerous individuals who come to Bangladesh for some work or study, however like geologist Nigel Hughes they return back leaving a bit of their heart
It would not be totally wrong to say that individuals come to Bangladesh with a thought they could call their own yet return again to their property abandoning a bit of their heart right here. That is the thing that precisely happened when geologist Nigel Hughes came here when he was only 18 years of age. He reviews, "It was my first visit to Dhaka in the late spring of 1982 and it was astounding. The visit happened when I was in the secondary school. A companion having his relatives in Bangladesh included me with some social work in Dhaka. I got to be intrigued and made my first visit that still stays a nostalgic voyage. Actually, shockingly, the air transport I flew was Biman Bangladesh Airlines."
It was his first voyage by a plane. He says, "I delighted in flying massively. The Biman staff were all enchanting. It was unfathomably energizing to leave the UK via air and to touch base in what appeared to be an alternate world."
Tryst with Bengal
As indicated by Hughes, his involvement with Bangladesh has been both glorious and testing. He describes, "Route in those days, I was staying on Eskaton Road and I could walk all over Dhaka. The range around the Sonargaon Hotel was just about like a town. Individuals were greatly friendly, kind, and inspired by me. I had the capacity visit a mosque surprisingly and ride on the rocket steamer down to Chandpur. We went down five star however returned in a deck entry, which was considerably more fun. Obviously being in Bengal, I was soon asked to sing, which I love to do, yet this is an exceptionally uncommon demand in the west. I took in my first expressions of Bangla on the Buriganga that night."
Amid the starting piece of his trek to this a piece of the world, he burned through two weeks in Dhaka. He went gaga for Rabindra Sangeet once he heard so surprisingly. He says, "I got to be acquainted with the names of both Rabindranath Tagore and Kazi Nazrul Islam. The excellence and nuance of the music made a profound impact on me and I needed to discover all the more about it and these remarkable individuals." So after four years, after his college degree in Geology, he went to Shantiniketan for eight months to study the Bengali remote easygoing course. "I again went by Dhaka on the path over to the UK and recollect tunes I sang with the rickshaw-wallahs as we sold once more to the airplane terminal! It took me quite a while to conform once more to life in the UK after all the shading and surface of Bengal. I never completely recouped," he imparts.
Indeed now he approaches give addresses in colleges and for science associations with backing from the American Center and the British Council. He says, "I discover Bangladesh to be an especially inviting spot, with its kin readied to go that additional mile to seek after their diversions and interests, thus profoundly keen to any endeavors made by guests."
Socially delightful
Bangladesh has such a large amount of regular excellence and this is maybe, I feel, needs to be safeguarded, Hughes feels. Several years prior he went to Mymensingh to test waters from the nearby stream as a feature of an overall venture on the science of chromium in waterway waters. He illuminates, "We halted in a little school in Tangail where we did a few projects about science and afterward appreciated different exhibitions by the kids. I was bewildered, as dependably, by the unprecedented ability that is show all around in Bangladesh, by the balance and self-assurance of the youngsters and by their intrinsic feeling of comic timing. Bengalis are especially skilled, because of their one of a kind society. It is so moving to find that this is reaffirmed each time I visit and shows up shockingly crisp every time.
বাংলার প্রেমে
বাংলাদেশে কত লোকই না বেড়াতে আসে। কেউ কাজে আসে, কেউ আসে পড়তে। তবে ভূতাত্ত্বিক নাইজেল হিউসের মতো যারা আছেন, তারা বাংলাদেশ ছেড়ে ফিরে যাওয়ার সময় পেছনে সযতেœ রেখে যান এক টুকরো হৃদয়।
যদি বলা হয়, লোকে বাংলাদেশে বেড়াতে আসে নিজের ইচ্ছেতেই আর নিজের দেশে চলে যাওয়ার পরও পেছনে রেখে যায় মনের একটি টুকরো, তবে তা কিছুতেই বাড়িয়ে বলা হবে না। আর ঠিক এই ব্যাপারটিই ঘটেছিল নাইজেল হিউসের বেলায়, যিনি ১৮ বছর বয়সে প্রথম বাংলাদেশে এসেছিলেন। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বললেন, “১৯৮২ সালের গ্রীষ্মে আমি প্রথম ঢাকায় এসেছিলাম। স্মৃতিটা ভোলার মতো নয়। হাইস্কুলে পড়ার সময়ই ট্যুরটা দিয়েছিলাম। এক বন্ধু ছিল, যার আত্মীয় থাকতো বাংলাদেশে। সে আমাকে এখানকার কিছু সামাজিক কাজকর্ম ধরিয়ে দিয়েছিল। আমি ধীরে ধীরে আগ্রহী হয়ে পড়েছিলাম। এরপরই জীবনের প্রথম বাংলাদেশ দর্শন ঘটে, এবং আজ অব্দি সেই ভ্রমণের কথা মনে করে আমি স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ি। আর হ্যাঁ, অবাক করা বিষয়টা হলো যে এয়ারলাইনে চড়ে আমি বাংলাদেশে এসেছিলাম, ওটা ছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।”
ওটাই ছিল হিউসের আকাশ পথে প্রথম ভ্রমণ। তিনি বললেন, “ভ্রমণটা আমি দারুণ উপভোগ করেছিলাম। বিমান-এর কর্মীরা সবাই বেশ মনোমুগ্ধকর ছিলেন। আকাশ পথে যুক্তরাজ্য ছেড়ে একটি সম্পূর্ণ নতুন জগতে আসাটা ছিল এক কথায় অপূর্ব এক অভিজ্ঞতা।”
বাংলার সাথে অভিসার
হিউসের কথা মতো বাংলাদেশে তার অভিজ্ঞতাটা একইসঙ্গে চমকপ্রদ ও চ্যালেঞ্জিং ছিল। বর্ণনা দিতে গিয়ে বললেন, “ওই সময় আমি ইস্কাটন রোডে থাকতাম। গোটা ঢাকা শহরটাই হেঁটে বেড়াতে পারতাম। সোনারগাঁও হোটেলের আশপাশের এলাকাটা ছিল একেবারে গ্রামের মতো। মানুষজন ছিল বেশ অতিথিপরায়ণ, দয়ালু, আর আমাকে নিয়ে তাদের আগ্রহের কমতি ছিল না। ওই সময় জীবনে প্রথমবারের মতো একটি মসজিদ দেখার সুযোগ পাই। তারপর এক দিন স্টিমারে চড়ে চাঁদপুরও গিয়েছিলাম। সেখানে যাওয়ার সময় প্রথম শ্রেণীর কামরায় উঠলেও ফেরার সময় আমরা ডেকে চড়েই ফিরি। ওটা ছিল আরও বেশি মজার। বাংলাদেশে যেহেতু আছি, তাই যথারীতি খুব শিগগিরই আমাকে গান গাইতে বলা হয়েছিল। আমার গাইতে ভালোই লাগে। তবে এ ধরনের অনুরোধ কিন্তু পশ্চিমের দেশগুলোতে সচরাচর কেউ কাউকে করে না। বুড়িগঙ্গার ওপর ওইদিন সন্ধ্যায় আমি প্রথম একটি বাংলা শব্দ শিখি।”
বিশ্বের এক কোণায় পড়ে থাকা দেশটিতে ভ্রমণের প্রথম পর্যায়ে তিনি টানা দুই সপ্তাহ কাটান ঢাকায়। প্রথম যে দিন রবীন্দ্র সঙ্গীত শুনলেন, সেদিনই তিনি গানটির প্রেমে পড়ে যান। নাইজেল জানালেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম, দুটো নামই এক পর্যায়ে আমার কাছে পরিচিত হয়ে আসে। এই দুজনের সঙ্গীতের সৌন্দর্য ও মাধুর্য আমার মধ্যে গভীর একটা ছাপ তৈরি করেছিল। তখন আমি ওই গান ও ওই দুই গুণীর সম্পর্কে আরও বেশি জানতে উদগ্রীব হয়ে পড়েছিলাম।” আর তাই চার বছর পর ভূগোলে অ¯œাতক ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি বিদেশিদের জন্য নির্ধারিত বাংলা কোর্স করতে আট মাসের জন্য চলে গিয়েছিলেন শান্তিনিকেতনে। হিউস আরও বললেন, “যুক্তরাজ্যে ফেরার পথে আমি আবারও ঢাকায় ফিরে আসি। আর আমার এখনও মনে আছে সেই গানগুলোর কথা, যেগুলো গাইতে গাইতে আমি আর রিকশাওয়ালা প্যাডেল চালিয়ে এসেছিলাম বিমানবন্দরে! বাংলাদেশে এত রং আর এত বৈচিত্র্য দেখার পর যুক্তরাজ্যে পৌঁছে সেখানকার পরিবেশে মানিয়ে নিতে আমার সত্যিই অনেক সময় লেগেছিল। সত্যি বলতে কি, আমি কখনই পুরোপুরি মানিয়ে নিতে পারিনি।”
এমনকি এখনও তিনি আমেরিকান সেন্টার ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহায়তায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও বিজ্ঞান বিষয়ক সংস্থাগুলোতে বক্তব্য দিতে আসেন। জানালেন, “বাংলাদেশকে আমি বরাবরই একটা উষ্ণ অভ্যর্থনাপূর্ণ দেশ হিসেবে খুঁজে পাই। যে দেশের মানুষগুলো তাদের আগ্রহ ও আবেগের জন্য বহু ক্রোশ পাড়ি দিতে প্রস্তুত থাকে, আর ওরা বাইরের অতিথিদের যেকোনো প্রচেষ্টাকে দারুণ শ্রদ্ধা করতে জানে।”
সাংস্কৃতিক সৌন্দর্যের আধার
হিউস মনে প্রাণে অনুভব করেন, বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপার লীলাভূমি এবং এগুলোকে অবশ্যই সংরক্ষণ করা উচিৎ। কয়েক বছর আগে নদীর পানিতে ক্রোমিয়ামের পরিমাণ নিয়ে রাসায়নিক গবেষণা করার একটি বৈশ্বিক প্রকল্পের অধীনে তাকে ময়মনসিংহ যেতে হয়েছিল। তিনি জানালেন, “বিজ্ঞান বিষয়ক কিছু প্রকল্পের কাজে টাঙ্গাইলের একটি স্কুলে আমরা গিয়েছিলাম। পরে সেখানে শিশুদের অংশগ্রহণে বেশ কিছু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করি। বরাবরের মতো আমি সেবারও অবাক হয়ে গিয়েছিলাম যে, বাংলাদেশের আনাচে কানাচে কতই না অনন্য সাধারণ প্রতিভা লুকিয়ে আছে। ভারিক্কি চাল আর আত্মবিশ্বাসে টইটম্বুর ওই শিশুদের মাঝে মজা করার প্রখর সময়জ্ঞানও দেখতে পেয়েলিাম। আসলে বাঙালিরা একটা দিক দিয়ে আশীর্বাদপুষ্ট। আর এ জন্য ধন্যবাদ দিতে হয় এই দেশের মানুষগুলোর অনন্য সংস্কৃতিকে। একটা ব্যাপার টের পেয়ে উল্লাসিত হয়ে পড়ি যে, যতবারই এখানে আসি ততবারই মনে হয় এই প্রথম এসেছি।”